জাতীয়

বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ ঘণীভূত হতে পারে

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বাতাসের লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে উপকূল অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। তবে এজন্য দেশের মধ্যাঞ্চল বা উপকূল অঞ্চলে আবহাওয়ায় খুব একটা প্রভাব পড়বে না।

রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার সর্বশেষ আবহাওয়া প্রতিবেদনে লঘুচাপের বিষয়টি জানা যায়।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেন, দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সাধারণত লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপে পরিণত হলে উপকূল থেকে সেটির কেন্দ্রের দূরত্ব নির্ণয় করি আমরা। তবে এটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। এটি দেশের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অতিক্রম করবে। এজন্য আমাদের আবহাওয়াতেও কোনো প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, বিগত দুই দিন যে বৃষ্টিপাত হয়েছে এটা অক্টোবর–নভেম্বর মাসের ‘পোস্ট মুনসুন’ সময়কালের জন্য হয়ে থাকে। উপকূলীয় অঞ্চলে বাতাসের চাপ কম ছিল। ফলে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের বায়ু কম বায়ুচাপের অঞ্চলে ধাবিত হয় এবং ‘মেঘমালা’ তৈরি করে। এ সময় পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসের সাথে পূবালী বাতাসের সংমিশ্রণ হয়েছিল আর সেখান থেকেই এই বৃষ্টি হয়েছিল। আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়া পূর্বাভাসে আর এমন সম্ভাবনা নাই।

সাধারণভাবে শীতকাল শুরু না হলেও মানুষ এখন শীতের আগমনী বার্তা পাচ্ছেন বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।  আগামী কয়েকদিন দিনের পর রাতে এবং ভোরে আবহাওয়া কমতে থাকবে। ডিসেম্বরে এসে দিনের তাপমাত্রাও কমবে। আর আসছে জানুয়ারিতে তাপমাত্রা সব থেকে বেশি কমবে। 

আবুল কালাম বলেন, নদী অববাহিকা, জলাধার এবং বনভূমি আছে এমন স্থানগুলোতে হাল্কা থেকে ঘন কুয়াশা পড়বে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ ইতিমধ্যে শীতের অনুভূতি পেতে শুরু করেছে। এটাকে শীতের আগমনী বার্তা বলা যেতে পারে।