জাতীয়

‘চলমান কাজ শেষ করেই পরের কাজ পাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান’

চলমান কাজ শেষ করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরের কাজ পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রকল্প, বিশেষ করে নির্মাণ প্রকল্প দেরি হয়ে যায়। এই দেরির একটা কারণ হলো ঠিকাদারি একই প্রতিষ্ঠান অনেকগুলো কাজ পেয়ে থাকে। মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কে কতগুলো কাজ পেয়েছে, কাজ সময়মতো শেষ করেছে কি না, কোন সময় শেষ করেছে– এসবের একটা তালিকা সব মন্ত্রণালয় তৈরি করবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে। চলমান কাজ শেষ করলে পরের কাজ পাবে। এর দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি হলো আমাদের নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে নির্মাণকাজের জন্য, মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমিত থাকবো না। দ্বিতীয়ত সময়মতো আমাদের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

সড়কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘যে রাস্তা বাড়ানো হচ্ছে, তা টেকসই এবং ভালো রাখার জন্য রাস্তার পাশে জলাধার কিংবা বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তার পাশে গাছ লাগাতে হবে। বিশেষত হাইওয়ের পাশে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা লং ড্রাইভ করেন বা যারা দীর্ঘসময় ধরে রাস্তায় থাকেন, তাদেরকে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।’

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখানে যারা জলবায়ু উদ্বাস্তু কিংবা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের তালিকা করতে হবে। তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ওখানে যে আবাসন তৈরি হয়েছে, সেই আবাসনে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। তালিকাভুক্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ, এমনও হতে পারে সরকারি আবাসন তৈরি হয়েছে দেখে অন্যান্য জায়গা থেকে লোকজন এসে সেখানে আবাসনের জন্য চেষ্টা করতে পারে।’ 

একনেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের বিষয়ে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা, অন্যান্য রেজিস্ট্রেশন বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করছে। এর যেন সমন্বিত একটি কাঠামো দাঁড়ায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এটা নিয়ে কাজ করছে। এনআইডি রেজিস্ট্রেশন, সবার আইডেন্টিটি যেন থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ভোটার তালিকা নয়। যেখানে এ কাজটা সমন্বিত হয়, সবার জন্য সুবিধার হয় এবং কার্যকরভাবে করা যায়, সেরকম একটা প্রতিষ্ঠানে এর ব্যবস্থাপনার জন্য তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন।’