জাতীয়

‘গাম্বিয়ার আইনি লড়াইয়ে তহবিল সংগ্রহে প্রচারণা চালাবে বাংলাদেশ’

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার আইনি লড়াইয়ে সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তহবিল সংগ্রহের প্রচারণা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন জানান, গাম্বিয়াকে মামলা মোকাবিলায় সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নিজেই প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটির পাশে দাঁড়াতে বলবে।

ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ৫৭ সদস্যের কাউন্সিলের ৪৭তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২৭ ও ২৮ নভেম্বর নাইজারের রাজধানী নিয়ামে এ অধিবেশন বসবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওআইসির সদস্য গাম্বিয়াও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে স্বেচ্ছায় আইসিজে যেতে পেরেছে এবং মামলা লড়াইয়ের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ এই বিষয়ে জোড়াল আবেদন জানাবে। ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েট নাইজারের রাজধানী নিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

তিনি আশা করেন, রোহিঙ্গা সংকট এ সম্মেলনের এজেন্ডাকে প্রাধান্য দেবে এবং ‘জবাবদিহিতা ও বিচার’ পেতে মিয়ানমারের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করবে এবং তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেবে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা দায়ের করে আফ্রিকার মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া। 

গণহত্যার তদন্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় দেশটি। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক এ আদালতে গণহত্যার দায়ে তৃতীয় মামলা এটি।