জাতীয়

৩ লাখ পারিবারিক ‘খাদ‌্যভাণ্ডার’ তৈরি হচ্ছে

দেশের দুর্যোগপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় ৩ লাখ পারিবারিক খাদ‌্যভাণ্ডার তৈরির উদ‌্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব  গুদাম তৈরিতে সরকারের ব্যয় হবে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার  টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত গরিব, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণের জন্য হাউজহোল্ড সাইলো সরবরাহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই ভাণ্ডারগুলো তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর। 

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক পরিবারই ধান, চাল ও বীজ সংরক্ষণের জন্য মাটির পাত্র, বাঁশের ডোল, চটের ব্যাগ, খড়ের মোচা ব্যবহার করে। এসব পাত্রে সংরক্ষিত খাদ্য ও বীজের মান বজায় থাকে না। এছাড়া, অনেক ক্ষেত্রে বাজারে বিক্রি হওয়া রঙ ও রাসায়নিক কীটনাশকের পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের ড্রামেও কৃষকরা খাদ্য সংরক্ষণ করেন। এতে স্বাস্থ‌্যহানির আশঙ্কা থাকে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য পবিবার পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খাদ‌্যভাণ্ডারগুলো ফুডগ্রেড প্লাস্টিকের তৈরি। এতে ধান, চাল বা বীজ সংরক্ষণ করলে গুণগত মান নষ্ট হবে না।  বায়ুরোধক হওয়ায়  ভেতরে বাতাসও ঢুকতে পারবে না।  বিজ্ঞানভিত্তিক নকশা অনুযায়ী প্রস্তুত হওয়ায় এতে সংরক্ষিত ধান, চাল, বীজ বা অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর গুণগতমান দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ন থাকবে। এছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় স্থানীদের ধান, চাল, চিড়া, মুড়ি, বীজ সংরক্ষণ করে আপৎকালীন খাদ্য চাহিদা মেটাতে পারবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতোধ্যে দুর্যোগপ্রবণ ১৯ জেলার ৬৩ উপজেলায় ৫ লাখ পরিবারের মধ‌্যে বিতরণ করা হয়েছে।  প্রত‌্যেক পরিবারকে মাত্র ৮০ টাকায় এই ‘খাদ‌্যভাণ্ডার’ দেওয়া হয়েছে।     নতুন করে সরকারি অর্থায়নে দেশের ৮ বিভাগের ২৩ জেলার ৫৫ উপজেলায় আরও ৩ লাখ খাদ‌্যভাণ্ডার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।