জাতীয়

‘বাণিজ্য ব্যবস্থা ডিজিটাল হওয়া অনিবার্য’

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ই-কমার্সকে কেবল ব্যবসার অংশ হিসেবে দেখার বিষয় নয়, বরং পুরো বাণিজ্য ব্যবস্থা ডিজিটাল হওয়া অনিবার্য। প্রচলিত বাণিজ্যকে ডিজিটালে রূপান্তরের জন্য ট্রেডবডিগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ট্রেডবডিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্মার্ট লজিস্টিক অপরচুনিটিজ অ‌্যান্ড চ্যালেঞ্জ ইন লাস্ট মাইল ডেলিভারি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ই-কমার্স এখন মানুষের নিত্যদিনের সাথী। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্রয়াদেশ দেওয়া হলেও বাস্তবতা হচ্ছে ক্রেতার কাছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পণ্য পৌঁছানো যায় না। এই ক্ষেত্রে লজিস্টিক সেবা ও ওয়‌্যারহাউজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগকে বিশাল অবকাঠামো ও বিদ্যমান পরিবহন নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সের জন্য উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ডাক বিভাগের দেশব্যাপী সাড়ে ৯ হাজার আউটলেট, সমপরিমাণ জিজিটাল ডাক কেন্দ্র এবং ৫২ হাজার জনবলকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ২৫০টি জরাজীর্ণ ডাকঘরের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ডাকঘরের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। ওয়‌্যারহাউজসহ ই-কমার্সের বিকাশে করণীয় সবকিছু করতে ডাকঘরগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। ডাকঘরকে ডিজিটালাইজ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ই-কমার্সকে ডিজিটালাইজ করতে সমৃদ্ধ ম্যাপ দরকার। এ বিষয়েও চিন্তা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর ক্ষেত্রে জিআইএস অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা সমস্ত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নান, দারাজের কর্মকর্তা খন্দকার তাসকিন আলম, চালডাল ডটকমের জিয়া আহসান, সুন্দরবন কুরিয়ারের নির্বাহী শেখ তানভির আহমেদ রণি, সহজের সিইও মালিহা কাদির, পাঠাওয়ের সিইও ইলিয়াস হোসেন, ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং আমাজনের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জামান অনুষ্ঠানে বক্তব‌্য রাখেন। ই-ক্যাব নেতা সাজ্জাদ ইসলাম ফাহমি অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।