জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে বাধা দেবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এই দেশের মাটিতে হবে বলে দৃঢ়প্রত‌্যয় ব‌্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই আপনারা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। কাজেই বঙ্গবন্ধুর সম্মানে দেশে যে ভাস্কর্য হবে, তা তৈরিতে আপনারা কোনো বাধা দেবেন না।’

রোববার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজিত  ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০’ অনুষ্ঠিত  আলোচনা সভায় ভাস্কর্যবিরোধীদের উদ্দেশে  স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালিক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য বছরের পর বছর কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেরেছেন দেশকে স্বাধীন করতে। বেলুচিস্তান ও কাশ্মির এখনো স্বাধীনতা পায়নি।’ 

পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যান্য বছর ব্যাপক পরিসরে পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন করা হয়। এবার করোনার কারণে কিছুটা সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। তবে, মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কোনো ঘাটতি হতে দেওয়া হয়নি। দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি চলছে। ভ্যাকসিন আনার কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।’ 

এন্টিজেন টেস্ট প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (৫ ডিসেম্বর) অনলাইন জুমের মাধ্যমে অংশ নিয়ে দেশের ১০ জেলায় একযোগে এন্টিজেন টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫-৩০ সেকেন্ডেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এর ফলে দেশে করোনা পরীক্ষার আরেকটি নতুন ধাপ সংযোজিত হয়েছে। মানুষ এখন সচেতন হলে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো সহজ হবে।’

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘২০০ শয্যাবিশিষ্ট লালকুঠি, মিরপুর মাতৃ ও শিশুশিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদবোধন করেন। এসময় তিনি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে  বকুল ফুল গাছের চারা রোপণ করেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে ৮ বিভাগে, ৬৪ জেলা, ৪৮৮টি উপজেলার ৬০টি মা-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ৪০০৮ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র অর্থাৎ মোট ৪ হাজা ৬৮২টি সেবাকেন্দ্র থেকে একযোগে পালিত হচ্ছে ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০’। 

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি)-এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক, নিপোর্ট-এর মহাপরিচালক,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন),পরিচালক আইএমই ইউনিটের পরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।