জাতীয়

‘জাতিসংঘ ভাসানচর পরিদর্শনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘ কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রস্তাব দেয়নি। তারা চাইলে যেকোনো সময় সেখানে যেতে পারে। সে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার।’

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রভাব প্রত্যাবাসন কূটনীতিতে পড়বে না। কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির থেকে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে সেখানে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্বেচ্ছায় যারা যেতে চাইবেন, শুধু তাদেরই সেখানে নেওয়া হবে।’

এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতির তীব্র সমালোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভাসানচরের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংস্থাটিকে দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে তাদের এ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছিল।’

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘকে আরও উদ্যোগী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এ কে আব্দুল মোমেন। 

তিনি বলেন, ‘অস্থায়ীভাবেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। বাস্তুচ্যুত এ জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশ সরকারে মূল লক্ষ্য। মিয়ানামরে নতুন সরকার গঠনের পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা শুরু করবে বাংলাদেশ।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিরোধিতা করলেও ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১৬ শতাধিক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।