জাতীয়

সরকারের কাছে ভাড়াটিয়া পরিষদের ৩ দাবি

করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ সারা দেশের সাধারণ ভাড়াটিয়াদের স্বার্থে সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছে ভাড়াটিয়া পরিষদ।

রোববার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

দাবিগুলো হলো— (১) সারা দেশে বাড়িভাড়া ও দোকানভাড়া অর্ধেক কমাতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়িওয়ালাদের বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে।

(২) নতুন বছরে ভাড়া বাড়ানো যাবে না। চুক্তি শেষ বা অন্য অজুহাতে কোনো ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এ বছর ভাড়াটিয়াদের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল মওকুফ করতে হবে।

(৩) করোনায় আক্রান্ত ভাড়াটিয়াদের চিকিৎসাব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে। সব ভাড়াটিয়াকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, ‘ঢাকা শহরে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ ভাড়া বাসায় থাকে। জীবিকার তাগিদে তাদের প্রতিনিয়ত কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অর্থাভাবে মানুষ তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়েছেন। পর্যাপ্ত ক্রেতার অভাবে রাজধানীসহ সারা দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেক শ্রমিক বেকার হয়েছেন। অপরদিকে, নিত্যপণ‌্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি সাধারণ ভাড়াটিয়াদের কষ্ট-দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কমানো হয়েছে। এতে অর্থাভাবে আছেন অনেক ভাড়াটিয়া।’

সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন—ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মো. কিরণ মৃধা, মো. মাকসুদুর রহমান, জামাল সিকদার, মো. আক্কাস আলী, অন্তর রহমান, শাহজাহান সিরাজ, কামরুল হাসান তুষার, সম্পদ কবির, লাভলী আক্তার, অধ্যাপক আবুল কাশেম, ফৌজিয়া হাসান লিপি, আজম মোল্লা, তুহিন চৌধুরী প্রমুখ।