করোনাভাইরাসের কারণে কাতার থেকে ছুটি নিয়ে দেশে আসা প্রবাসীরা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের ছুটিতে কাতার থেকে দেশে আসা সব শ্রমিদের জন্য কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে এক্সেপশনাল রি-এন্ট্রি পার্মিট সহজ করে আবার কর্মস্থালে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
কাতার প্রবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বাংলাদেশে এসে দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে আছে। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশ লোকের আইডি তারিখ শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে ভারত, নেপাল, পাকিস্তানের সব শ্রমিক ইতিমধ্যে কাতারে চলে গেছে। কিন্তু তারা যেতে পারছে না। আর তাদের যেভাবে এন্ট্রি পার্মিট দেওয়া হচ্ছে সেভাবে সব শ্রমিকদের পারমিট পেতে দুই-তিন বছর লেগে যাবে। এদিকে, কাতার থেকে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরের পর যারা বাংলাদেশে ছুটিতে এসেছে, বা আসবে তাদের এন্ট্রি পার্মিট অটোমেটিক হয়ে যাচ্ছে।
কাতারে রেডকো ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন আবুল হাসান। বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে, ১৩ বছর ধরে কাতার থাকেন।
তিনি বলেন, ইন্ডিয়া, নেপাল, পাকিস্তানের যতো লোক ছিল সবাই রি-এন্ট্রি পার্মিট নিয়ে চলে গেছে। শুধু আমরাই যেতে পারছি না। আমাদের সাথে যারা কাজ করে, ম্যানেজার ও কোম্পানির লোক বলতেছে, তোমাদের সরকারের সাথে সমস্যা আছে। এজন্য তোমরা পার্মিট পাচ্ছো না। এটা বাংলাদেশের সমস্যা। কোম্পানি থেকে জানানো হয়েছে আমাদের জন্য তারা রি-এন্ট্রি পার্মিটের জন্য দুইবার আবেদন করেছে কিন্তু পার্মিট পায়নি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রাইজিংবিডিকে বলেন, রি-এন্ট্রির বিষয়ে কাতার সরকারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। শ্রমিকরা দ্রুত কাতারে গিয়ে কাজে যোগ দিতে পারবে।