জাতীয়

অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় না করার নির্দেশ

অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় না করতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন তিনি।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা, সততা ও নিষ্ঠা প্রত্যাশা করি। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছ হতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারি অর্থ ব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়া ছাড়া অর্থ পরিশোধ করলে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রকল্পের কাজ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারি স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কিছু করা যাবে না। প্রকল্পের সব কাজ বুঝে নিতে হবে। দ্রুত গতিতে প্রকল্প গ্রহণ করে শুধু কেনাকেটা না করে সেটা বাস্তবে দেশের মানুষের কাজে আসছে কি না তা দেখতে হবে। অর্পিত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতার পরিচয় দিলে প্রকল্প নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আলোচনা হবে না।’

‘ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্প প্রণয়নে অস্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। প্রকল্পে প্রস্তাবিত মূল্য বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। প্রস্তাবে কোনো ধরনের অসঙ্গতি মেনে নেওয়া হবে না। অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক কোনো কিছু প্রকল্প প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ইচ্ছেমতো শর্ত জুড়ে দেওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,’ বলেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক ও মো. তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১৭টি ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের দুটি প্রকল্পের ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।