দেশে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার ৬৩টি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রচার-প্রচারণা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অপেক্ষা করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মারামারি, হানাহানি, রক্তপাত ঘটত; কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতির দৃষ্টান্ত দেখা যেত। আমরা অত্যন্ত আশাবাদের সঙ্গে বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এ ধরনের হানাহানি-রক্তপাত ততটা ঘটেনি, যেভাবে অতীতে হয়েছে।’
ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে, সেজন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিয়েছে, জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা সরকারের দায়িত্ব। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকায় কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করছে না বা করবে না। বরং অতীতের ধারাবাহিকতায় সহযোগিতা করবে।’
ইভিএম নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলেও প্রযুক্তির সুফল রয়েছে। ইভিএমে যেসব পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক, ৬০ ভাগের বেশি। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক।’
দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ অন্যান্য পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটি, উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এসব কমিটির বিষয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে কিংবা কারও অভিযোগ থাকলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপিলের সুযোগ আছে।’ কমিটির বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রাইবুনালে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরও পরিচ্ছন্ন, আধুনিক, গণতান্ত্রিক এবং স্মার্ট দলে রূপান্তর করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার ভীতকে আরও মজবুত করতে আওয়ামী লীগ সচেষ্ট। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সবচেয়ে বেশি।’
সরকারকে জনগণ ক্ষমা করবে না, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করছে বলেই বারবার শেখ হাসিনাকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিচ্ছে দেশের মানুষ। বিএনপির সকল কর্মসূচি রাষ্ট্র ও জনগণের বিপক্ষে।’