কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ নূরুল হকের চতুর্থ কবিতার বই ‘লাল রাত্রির গান’ প্রকাশিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বইটি প্রকাশ করেছে দৃষ্টি প্রকাশন। প্রচ্ছদ করেছেন কাব্য কারিম। দাম ২০০ টাকা।
নিজের চতুর্থ কবিতার বই সম্পর্কে মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, লাল রাত্রির গান, বই হিসেবে একাদশ। কবিতার বই হিসেবে চতুর্থ বই। আমি বরাবর যেমন বলে থাকি, ছন্দহীন রচনা কবিতা নয়, আবর্জনা। এখনো তাই বলছি। আমার এই বইতে বাংলা ছন্দের নিরূপিত তিনটি রূপ ছাড়াও রয়েছে গদ্যছন্দের কবিতাও। রয়েছে বেশকিছু গীতি কবিতা। যারা কবিতার মতো দেখতে কিছু রচনা নয়, সত্যিকার অর্থেই কবিতা পড়তে চান, আশা করি তাদের ভালো লাগবে।
‘লাল রাত্রির গান’ গ্রন্থ থেকে দুটি কবিতা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১. চৈত্রে কেন দুলিয়ে কোমর শাড়ির ভাঁজে তুললে যখন ঢেউ, আমার তখন দৃষ্টিজুড়ে উড়ন্ত গাঙচিল, ফেললে ছায়া প্রেমিক হাঙর মাতাল কোনো রাতে নদীর বুকে স্রোতের পদ্যে ছায়ারা ঝিলমিল…
চৈত্রমাসে হঠাৎ কেন কোকিল ডেকেছিল?
কথা ছিল বুকের বামে সমস্ত রাত রেখে সিঁদুররাঙা গালের তিলে গোপনে ঠোঁট চেপে উড়িয়ে হাওয়ায় শাড়ির আঁচল, ব্যস্ত রেখে চোখ দুহাত রেখে বুকের খাঁজে চাঁদ চেনাবো মেপে…
স্বপ্নে হঠাৎ হাতির ঝিলে ফাগুন ডেকেছিল?
সে রাত যেন রেশম রেশম মেঘমেয়েদের চর চোখের নদী তুললো কি ঢেউ? বাতাস ক্ষেপেছিল? বেসামাল এক রাত্রি যেন দেহে কাঁপন তুলে উতল বুকের বসনখানি উড়িয়ে নিয়েছিল!
শরীর কেন হঠাৎ কেঁপে জোয়ার এনেছিল?
২. নিষিদ্ধ করতালি
হঠাৎ কোথাও ভাঙলো কারও ঘুম আঁকছে ছবি পিকাসো, না দালি? আলোর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে পথ উঠলো বেজে নিষিদ্ধ করতালি!
কেউ বলেছে, রা করো না আর কেউ বলেছে সব মেনে নাও আজ বাঁচতে চাইলে মানিয়ে চলো সব প্রতিবাদের নেই তো কোনো কাজ।
কেউ বলেছে, এবার লড়াই হবে পথের শত্রু কাটবো ফালি ফালি বিশ্ব হবে সীমান্তহীন, শুনে কেউ দিলো ফের নিষিদ্ধ করতালি?
আমার কথা বলবো শঙ্কাহীন কিসের কারা, কিসের শেকল ভয় জন্মস্বাধীন পাখির মতো আমি ভালোবাসার আকাশ করবো জয়।
নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে মন কার বুকে আজ ঘুমায় বনমালী? রাধা খোঁজে বৃন্দাবনে শ্যাম কৃষ্ণ দিলো নিষিদ্ধ করতালি!