জাতীয়

কোনোকিছু কিনে নষ্ট করা যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের বর্তমান সচিব এখানে নতুন, আমিও নতুন।  সচিব নতুন বলে বলছি, বিবিএসে কিছু কিছু কেনাকাটা করা হয়েছে গত তিন বছর আগে। ওই জিনিসগুলো স্টোরেজ করা আছে এবং এই মালামাল ব্যবহারের জন্য সচিব ও ডিজিকে অনুরোধ করছি। 

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনের অডিটরিয়ামে জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন তিনি।  আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর জনশুমারির মূল শুমারি অনুষ্ঠিত হবে। এই এক সপ্তাহে সারা দেশের মানুষকে গণনার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়।

তিনি বলেন, এখন ২০২১ সাল কিন্তু মালামাল কোন হয়েছে ২০১৯ সালে। প্রকল্পটি পাশ হওয়ার পরপরই কেনাকাটা করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় কোনকিছু কিনে যেন কোনভাবেই নষ্ট না হয়, সেজন্য সঠিক সময়ে কেনা জরুরি।  আগেও ক্রয় করবো না পরেও ক্রয় করবো না, যথা সময়ে ক্রয় করে ব্যবহার করবো।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোভিডজনিত কারণে আমরা শুমারির কাজটা করতে ১০ মাস পিছিয়ে গেছি। এ কাজটি পিছাতে সরকার প্রধান থেকেও অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।  আমাদের অস্তিত্বের অন্যতম নিদর্শন হলো জনশুমারি।  কাজটি সঠিকভাবে না হলে এ বিভাগে নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন জাগবে।  এজন্য যথাযথ উন্নয়ন করতে সবাইকে সঠিক সময়ে কাজ করতে হবে।  রিয়েল এবং নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করে জনশুমারি করা যাবে না।  ফিল্ড পর্যায়ে যারা কাজ করবে বিশেষ করে তাদের অনেক সতর্ক হতে হবে।

জনশুমারি প্রকল্পের খরচের হিসেবে তিনি বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য এবার মাথাপিছু ১১০ টাকা করে খরচ হচ্ছে।  যেহেতু শুমারি ১০ বছর পরপর করা হয়, সেহেতু প্রত্যেক বছরে ১০ টাকা করেও খরচ হয় না একজন নাগরিকের জন্য।  মাসে এক টাকাও নয় ৮০ পয়সার মতো খরচ হয়।  কিন্তু প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সময় মনে হয়, মাথা গণনা করতে বিশাল টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১০ বছর পরপর শুমারি করা মাসে এক থেকে দেড় টাকা খরচ হয়।  আমার মনে হয় মাস, বছর হিসেব করলে এটা ঠিক আছে।  তারপর সরকারি টাকা খরচে সবাইকে সাবধান হতে হবে।