জাতীয়

ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড আইনের খসড়া অনুমোদন

শাস্তির বিধান রেখে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন, ২০২১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়। ট্যুর অপারেটর কীভাবে পরিচালনা করা হবে, দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে অনুমোদন দেওয়া হবে, কীভাবে নিবন্ধন দেওয়া হবে—আইনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে।’

‘আমরা ধীরে ধীরে যত উন্নত দেশের দিকে যাব, আমাদের সেবাগুলো তত উন্নত হতে থাকবে। সেবা খাত বিনিয়োগের একটা বড় ক্ষেত্র হবে। এজন্য আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়,’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নিবন্ধন ছাড়া ট্যুর অপারেটর পরিচালনা ও অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। অপরাধের বিচার মোবাইল কোর্টে হবে।’

তিনি জানান, নিবন্ধন ছাড়া ট্যুর অপারেশন করা যাবে না। নিবন্ধনের জন্য কী কী যোগ্যতা লাগবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সনদ দেওয়ার জন্য সরকার একটি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ গঠন করবে।

সচিব বলেন, ‘আইনের মাধ্যমে পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সেবাপ্রাপ্তি সহজ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। কারণ, অনেক বড় বড় ইনফরমাল ট্যুর হচ্ছে, কিন্তু কোনো ভ্যাট বা ট্যাক্স সরকারের খাতে জমা হচ্ছে না। এজন্য যত নিবন্ধন ও ট্যুর হবে সবগুলো রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে এ আইন করা হয়েছে। এর অধীনে একটি গাইডলাইন করা হবে। কোন সেবা কত টাকায় পাওয়া যাবে, এগুলো পরিষ্কার হবে।’