জাতীয়

চাল-আলু-পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ 

চাল, আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন আরও বাড়াতে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে “বাংলাদেশ চাল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ উদঘাটনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনবিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আয়োজিত এ কর্মশালায় বাংলাদেশ চাল, আলু ও পেঁয়াজের প্রাপ্যতা ও দামের অস্থিরতার বিষয়ে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, ইউজিভির উপাচার্য ও স্টাডি টিমের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, বিএআরসির সদস্য পরিচালক ড. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়াতে না পারলে কোনো পণ্যের বাজারই স্থিতিশীল থাকবে না। তাই চাল, আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন আরও বাড়াতে কার্যক্রম চলছে। চালের উৎপাদন বাড়াতে ব্রি-৮৭ ও বিনা -১৬ জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আর পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, এ বছর চাল, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেশি ছিল। চালের দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে।  ফলে চালের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, লাগাতার বন্যার কারণে আউশ ও আমনে চালের উৎপাদন কম হয়েছে। সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া এবং সরকারি খাদ্যগুদামে পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় মিলমালিক ও পাইকাররা সুযোগ নিয়েছে। এটি ভবিষ্যতে যাতে না হয় সেজন্য আগামী বোরো মৌসুমে ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উদ্যোগ নেয়া হবে। চাল কিনে সরকারি মজুত বাড়ানো হবে যাতে বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে।