জাতীয়

প্রকল্পে ত্রুটির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরিতে কোনো ত্রুটি থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।

একনেক সভায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু নির্দেশনা দেন। এ প্রকল্পে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। 

ব্যয় বাড়ার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নতুন আইটেম যুক্ত হয়েছে। পিউব্লিউডির রেট সিডিউল সংশোধনের ফলে এই ব্যয় বেড়েছে। সংশোধনীর মাধ্যমে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদ বেড়ে হচ্ছে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ৬ হাজার ৪৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ৩ হাজার ৯২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। মেয়াদ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে জুন ২০২১ সাল। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যাদের কারণে পরবর্তী সময়ে নতুন আইটেম যোগ করতে হয় এবং প্রকল্প সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, প্রকল্প তৈরিতে যাদের কারণে ভুল হয়, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বড় বড় সেতু নির্মাণে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে। জনগণের প্রয়োজনে তৈরি করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন সেতু নির্মাণের কারণে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়। এখন সেতুগুলো এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন নৌ চলাচল বাধাগ্রস্ত না হয়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, যেন শুধু বড় ঠিকাদাররা কাজ না পান। ছোট ঠিকাদাররাও যেন কাজ পান সে বিষয়ে নজর রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’’ 

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান।