জাতীয়

অর্পিত সম্পত্তির সমস্যা যথাযথভাবে সংশোধন করা হবে: ভূমিসচিব

অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে যেন এই বিষয়ে আর কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সে ব‌্যাপারে ভূমিমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।’

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ অধিকতর সংশোধনী’ বিষয়ক কর্মশালায় সচিব এসব কথা বলেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সালেহউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভিপি কৌঁসুলি, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তারা অংশ নেন।  

প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে যারা পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে গিয়ে বসবাস করছিল, তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৪ সাল থেকে শত্রু সম্পত্তির নতুন নাম দেওয়া হয় অর্পিত সম্পত্তি।

অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত সম্পত্তি বৈধ মালিকদের কাছে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম মেয়াদে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১’ প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্পিত সম্পত্তি আইনানুগভাবে প্রকৃত মালিককে প্রত্যর্পণের জন্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অর্পিত সম্পত্তির  গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এই বিষয়ে কর্মশালায় জানানো হয়, স্বল্প সময়ের মধ্যে এতবড় কাজ করতে গিয়ে ক্ষেত্রভেদে প্রকাশিত গেজেটে কিছু ত্রুটি থেকে যায়। নির্ধারিত সময়সীমা একাধিকবার আইন সংশোধনের মাধ্যমে বাড়িয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।

আইন সংশোধনের মাধ্যমে বর্ধিত সময়সীমার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪) মধ্যে কতিপয় প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তি বাদপড়া ও সংশোধনী তালিকার গেজেট প্রকাশের বহির্ভূত থাকে। একাধিকার বাদপড়া ও সংশোধনী তালিকার গেজেট প্রকাশের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বাড়ানো হলেও প্রায়ই ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতা ও বৈধ মালিকরা যেন অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক সমস্যায় দ্রুত সমাধান পেতে পারেন, সেজন্য আইনে আরও কিছু সংশোধনী আনার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় ভূমি মন্ত্রণালয়।