জাতীয়

আজ জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস

এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোনো ডায়াবেটিসের রোগী নেই। ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারি রোগ। ডায়াবেটিস এমনই একটি রোগ, যা কখনো সারে না। কিন্তু এই রোগকে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 

জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস আজ। অন্যদিকে আজ ডায়াবেটিক সমিতিরও ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কভিড ও ডায়াবেটিস, প্রতিরোধে বাঁচবে জীবন’। এ  উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। 

দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকালে আলোচনা সভা ও আদর্শ ডায়াবেটিক রোগীদের ক্রেস্ট ও অভিনন্দনপত্র প্রদান অনুষ্ঠান রাজধানীর বারডেম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

এ ছাড়া শাহবাগে শোভাযাত্রা, এনএইচএন ও বিআইএইচএসের বিভিন্ন কেন্দ্রসংলগ্ন স্থানে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস নির্ণয়, কম মূল্যে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে হার্ট ক্যাম্পসহ দিনভর নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

একটি সূত্র মতে, মানুষ যখন কার্বোহাইড্রেট বা সাধারণ শর্করাজাতীয় খাবার খায়, তখন তা ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়।  ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন। এর কাজ হলো এই গ্লুকোজকে মানুষের দেহের কোষগুলোয় পৌঁছে দেওয়া। এরপর সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের কোষগুলো শক্তি উৎপাদন করে। সেই শক্তি দিয়েই রোজকারের কাজকর্ম করে মানুষ। সুতরাং যখন এই গ্লুকোজ শরীরের কোষে পৌঁছাবে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হবে।

যখন কারও ডায়াবেটিস হয়, ওই মানুষের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়।  ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যখন প্রস্রাব বেশি হয়, তখন ডায়াবেটিসে ভোগা রোগী তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। এতে করে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে না দেহের কোষগুলো। ফলে রোগী দুর্বলতা অনুভব করেন। রোগী যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তবে তার রক্তনালি, স্নায়ু, কিডনি, চোখ ও হৃদযন্ত্রের সমস্যাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিকস সচেতনতা দিবসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণদের বক্তব্য, শারীরিক শ্রম, নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমান খাওয়া এবং ওজন ঠিক রাখাসহ সচেতনা এই রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।