জাতীয়

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য হচ্ছে ক্রীড়া কমপ্লেক্স

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পে ব‌্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭ হাজার টাকা। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে  ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

গত ১৬ মার্চ অনুমোদন পাওয়া সমাজকল‌্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রকল্পের পুরো ব‌্যয় বহন করবে সরকার।

উল্লিখিত প্রকল্পের অধীনে ২৭ হাজার ৮১১ বর্গমিটার একাডেমিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে। এতে ১৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। প্রতি বর্গমিটারে ব্যয় হবে ৫১ হাজার ৯৬২ টাকা।

দুটি ডিপ টিউবওয়েলের পাম্প হাউস নির্মাণে ব্যয় হবে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ১১১ বর্গমিটার পাম্প হাউজ নির্মাণে প্রতি বর্গমিটারে ব্যয় হবে ২ লাখ ৮ হাজার টাকা। ১ হাজার ৮ মিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রতি বর্গমিটারে ব্যয় হবে ৯২ হাজার ৪৬০ টাকা। ৬ হাজার ৩৮২ বর্গমিটার পুকুর ও খাটলা নির্মাণে ব্যয় প্রায় ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। প্রতি বর্গমিটারে ব‌্যয় হবে ৯ হাজার ৬০৩ টাকা।

প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘প্রকল্পটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমঅধিকার ও সুযোগ দেওয়া এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের মাধ্যমে সমাজের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত হতে সাহায‌্য করবে। বিশেষায়িত আধুনিক ও অনন্য প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন করা হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি, যেমন: সেরিব্রাল পালসি (সিপি), দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, মানসিক ভারসাম্যহীন ব‌্যক্তিদের বিশেষ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।’

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ‌্যে আছে—বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ স্কুল, কারিগরি সেবা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি; ১১ তলা একাডেমিক ভবন, ৬ তলা ডরমেটরি, হোস্টেল, সুইমিং পুল ও জিমনেশিয়াম নির্মাণ, ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সুবিধা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কমপ্লেক্সের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, সৌর প্যানেল স্থাপন ইত্যাদি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রকল্পটি সম্পর্কে বলেন, ‘সমাজের অন‌্যান‌্য নাগরিকের মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরও সমঅধিকার ও সুযোগ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’