জাতীয়

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সিইসি

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কতটা কষ্টে আমরা যুদ্ধ করেছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।  আমরা দিনের পর দিন না খেয়ে যুদ্ধ করতে হয়েছে। একদিন কয়েকজন লোক আমার কাছে এসে একটি লাল প্রথমবারের মতো একটা জিনিস আমার কাছে দিয়ে বলে এটা রাখেন।  আমি বারবার জিজ্ঞাসা করি যে  কি আছে? পরে খুলে দেখি পাঁচ টাকা দশ টাকা ৫০ টাকা এরকম বেশ বেশ কিছু টাকা রয়েছে সেখানে। তারা আমাকে বলে পাকিস্তানিরা তাদের পরিবারের জন্য মানি অর্ডারের মাধ্যমে টাকা পাঠায় সেই টাকাই এখানে রয়েছে।  আপনারা এই টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খাবার কিনুন। এখন আপনারাই বলুন তারা কতটা ঝুঁকি নিয়ে সে কাজগুলো করেছিল। এখানে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা আমরা না তারাও মুক্তিযুদ্ধ ছিল।  পাকিস্তানি আর্মিরা যদি জানতে পারত যে তাদের টাকা এনে আমাদের দিয়েছিল তাহলে তাদের লাশ পড়ে থাকতে নদীতে। 

সিইসি বলেন, বন্দুক কাঁধে নিয়ে যুদ্ধ করলে মুক্তিযোদ্ধা হয় না।  যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে তারাও মুক্তিযোদ্ধা বলেই বিবেচিত হতে পারে।  এজন্য মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা ঠিক হয়নি কারণ ওই সময় সবাই মুক্তিযোদ্ধা ছিল।  আনোয়ারা বেগম ঠিকই বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা না করে ওই সময়ে যারা দেশ বিরোধী কর্মকান্ড করেছে তাদের তালিকা করলে সঠিক তালিকা পাওয়া যেত। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন,  নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম,  ইসি সচিব মো হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রমুখ।