জাতীয়

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত‌্যয় ব‌্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। আমাদের প্রত্যয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা।’  

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘মুজিব চিরন্তন। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী আজ শেষ হতে যাচ্ছে। আমরা গেলো বছর এই কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সেটা স্থগিত করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার ভাইরাসের মধ্যে মোদি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, সেজন্য  তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৫০ বছর আগে এদিন বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা সবসময়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। মোদি আজ এই অনুষ্ঠান মহিমান্বিত করেছেন। আমি পুরো দেশের পক্ষ থেকে মোদি ও ভারতের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই শুভ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে মর্যাদাপূণ গান্ধী পুরুস্কারে ভুষিত করার জন্য ভারতকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের সুখে-দুখে সবসময় ভারত পাশে থেকেছে। । বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ভারতের কাছ থেকে উপহার হিসেবে করোনার টিকা  পেয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা, চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, মা-বোন যারা নির্যাতিত হয়েছিলেন, তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ৭৫-এর পনেরো আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটা কলঙ্কজনক অধ্যায় ছিল। আমার মা, ভাই, বোন, বাবা, ভাবি, সবাইকে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন যারা শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত শুধু আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রই নয়। তাদের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক ভৌগলিক বন্ধুত্ব রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয়, চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে। বাংলদেশ-ভারতের মিত্র বাহিনীর যৌথ লড়াইয়ে  বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে সাফল্য পায়। এই যুদ্ধে যেসব ভারতীয় আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের  কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবেও ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ।’

শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে শেখ হাসিনা বলেন,‘দক্ষিণ এশিয়া সম্ভাবনাময় এলাকা। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বাংলাদশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জাতিসংঘের উচ্চমাধ্যম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন‌্যা শেখ রেহানা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা।