জাতীয়

‘গণহত্যার জরিপ হলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক শেষ হবে’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘৬৪ জেলায় গণহত্যা নিয়ে জরিপ করা হলে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের অবসান হবে।’

সোমবার (২৯ মার্চ) রাজধানীতে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এক সেমিনারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘গণহত্যার পাঁচ দশক: স্বীকৃতি, বিচার ও ইতিহাসের দায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এবং গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণাকেন্দ্র।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণাকেন্দ্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবরের জরিপ করা। গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নির্মম এই ইতিহাস নিয়ে এত বড় কাজ হয়নি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ গবেষণাকেন্দ্র ২৮টি জেলায় জরিপ করেছে এবং বই আকারে প্রকাশ করেছে। এই ২৮টি জেলায় গণহত্যার তথ্য পাওয়া গেছে প্রায় ১৩ হাজার ৮৫৪টি। প্রতিটি গণহত্যায় গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন শহীদ হলে এবং বাকি ৩৬টি জেলায় জরিপের কাজ সম্পন্ন হলে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এ সংক্রান্ত বিতর্কের অবসান ঘটবে।’

গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি শাহরিয়ার কবির।