করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট-৩ আসনের সংসদ-সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব আনার পর তার জীবনের ওপর আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতেও সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন শুরুর পর শোকপ্রস্তাব আনা হয়। এর আগে সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা, সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী, সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রী, সাবেক তিনজন সংসদ-সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
যাদের নামে শোকপ্রস্তাব আনা হয়েছে তারা হলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম), সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদের ময়মনসিংহ-১১ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, সাবেক গণপরিষদ ও সংসদ-সদস্য ও প্রথম সংসদের তৎকালীন সিলেট-১৪ আসনের তোয়াবুর রহিম, দশম জাতীয় সংসদের সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আ. মজিদ মণ্ডল।
এছাড়া তৃতীয় ও পঞ্চম জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নোয়াখালী-৫ এবং নবম জাতীয় সংসদের বগুড়া-৭ আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনার পাশাপাশি তাদের জীবনবৃত্তান্ত সম্বলিত শোকপ্রস্তাব সংসদে উত্থাপন করেন স্পিকার। শোক প্রস্তাবের অনুলিপি উপস্থিত সব এমপিদের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।
এছাড়াও দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, সিকদার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য পারভীন হক সিকদারের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার, ভাষাসৈনিক আলী তাহের মজুমদার, কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রজন্ম ’৭১-এর সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহীন রেজা নুর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান, হাইকোর্ট বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি ও সাবেক আইন সচিব বিচারপতি মো. আব্দুল হাইয়ের নামে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।