জাতীয়

লকউাউন: নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া, গাড়ি না পেয়ে রাস্তায় বসে অফিসের কাজ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোঘিত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের প্রথমদিন চলছে।

লকডাউনে রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ আছে। সচল আছে গার্মেন্ট, বেসরকারি অফিসসহ আরও বিভিন্ন দপ্তর। এ নিয়ে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসীরা। এদের মধ্যে অনেকেই মিশ্র অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কর্মকর্তা গাড়ি না পেয়ে রাস্তায় বসে অফিসের কাজ করতে শুরু করেছেন। এই ছবি তার বন্ধু তুলে ফেসবুকে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অফিস যাবার সময় কোনো গাড়ি পাচ্ছিলাম না। এদিকে জরুরি কাজ ছিল হাতে। উপায় না পেয়ে পথেই কাজ শুরু করি। পরে এক সিএনজি নিয়ে অফিস এসেছি। এতে আমার প্রায় পাঁচগুণ টাকা খরচ হলেও যথাসময়ে অফিসে আসতে পারলাম না।’ 

অম্লান সেন মিরপুরের বাসিন্দা। তিনি গুলশান ক্লাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার। তিনি জানান, এমন লকডাউনের কোনো মানে হয়না। এটা ভোগান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।

আনোয়ার হোসেন নামে একজন লিখেছেন,  ‘লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করুন।নতুবা যার যার কপালের ওপরে ছেড়ে দিন। কেউ না খেয়ে মরবে, কেউ গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরবে, তা হয় না।’ নাজমুল সায়েদ লিখেছেন, ‘খুউব লকডাউন চলছে।’

মোহাম্মদ হোসেন তারিক লিখেছেন, ‘লকডাউন চলে নাকি ঈদের ছুটি কিছুই বুঝলাম না। এই লকডাউন দেওয়ার চেয়ে না দেওয়ায় ভালো। লকডাউন দিলে ১৫ দিনের জন্য সব বন্ধ করে দিন।’

আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, ঢাকায় যান চলাচল খুব কম। তবে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি ঢাকার লকডাউন।

মসাররফ খান বাদল লিখেছেন, এটা কী ধরনের লকডাউন। বাস ছাড়া সবই চলছে লকডাউনে।