জাতীয়

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন: অলিগলিতেও কড়াকড়ি

সকাল সাড়ে ১০টা। পরিবহন নেই। জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ। আগের মতো কোলাহল নেই।  দোকানপাট সবকিছুই বন্ধ।  সড়কের সব প্রবেশ পথই আটকে দেওয়া হয়েছে।  শনিরআখড়া ও রায়েরবাগে মূল সড়কের মতো অলিগলিতেও চলছে কড়াকড়ি।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এক সপ্তাহের কঠিন লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর শনিরআখড়া ও রায়েরবাগের চিত্র এটি।

শনিরআখড়া ও রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ডে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় ও কোথায় যাবেন জানতে চাচ্ছে।  এ সময় মুভমেন্ট পাস আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হলে কেউ কেউ পাস দেখাচ্ছেন।  পাশাপাশি অসুস্থ রোগী যারা চিকিৎসার জন্য যাবেন তাদের যেতে দিচ্ছেন।

 আবার কেউ হেঁটে যেতে চাইলে তাকেও একইভাবে আটক করে মুভমেন্ট পাস আছে কিনা তা জানতে চাইছেন। তবে যাদের পাস আছে এবং জরুরি কাজে যাচ্ছে তাদের যেতে দেওয়া হয়েছে। আর যারা কোনো কাজ ছাড়া বের হয়েছেন তাদের বাসায় ফিরে যেতে বলা হয়।

শনিরআখড়া চেকপোষ্টে কথা হয় নুর হোসেনর সঙ্গে।  তিনি বলেন, মিডফোর্টে হাসপাতালে আম্মা ভর্তি। খাবার নিতে এসেছিলাম। পুলিশকে হাসপাতালের কাগজপত্র দেখানোর পর আমাতে যাবার অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যাদের কাজ নেই এমনিতে বের হয়েছে তাদের বাসায় যেতে বলা হয়েছে।

শনিরআখড়া চেকপোষ্টে দায়িত্বরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এসআই আবু বকর বলেন, লকডাউনে সরকারের পক্ষ থেকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে।  যারা বিনা কারণে ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছি। 

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকেই আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে জনগণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছি।  যাদের হাতে মুভমেন্ট পাস ও রোগী তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। 

শনিরআখড়া ও রায়েরবাগে আশেপাশে অলিগলিতে কড়াকড়ি লকডাউন চলছে।  কিছু কিছু মুদি দোকান, ফলের দোকান খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে। আশেপাশে দোকান পাট। হোটেল, রেস্তোরাঁও বন্ধ রয়েছে।

তবে অলিগলিতে রাস্তাঘাটে মহল্লার মানুষজনকে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে।