জাতীয়

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সড়কে জনসমাগম বেড়েছে

করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় সারা দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন।  লকডাউনের প্রথমদিনে রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর এলাকায় জনসমাগম কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন বেড়েছে ব্যস্ততা। গণপরিবহন না থাকলেও এসব এলাকায় চলাচল করেছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা। তবে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা  দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সপ্তাহ আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন বেশি মেনে চলছেন সাধারণ মানুষ।  বিশেষ করে গত কয়েকদিন করোনা সংক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা বেড়েছে।

সরেজমিনে শ্যামলী, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড় হয়ে মিরপুর-১ পর্যন্ত দেখা গেছে, প্রধান সড়কে রিকশা, মোটর সাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে।  তবে সংখ্যা তা খুব বেশি না। যদিও এটি গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। ওষুধ, কাঁচা বাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকায় অন্যান্য দিনের মতো মানুষ বেরিয়েছে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে। সীমিত পরিসরে পোশাক কারখানা খোলা থাকায় বাসা থেকে বের হতে হয়েছে শ্রমিকদের। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা থাকলেও অনেকে রিকশায় ছুটেছেন কর্মস্থলে।

টেকনিক্যাল মোড়ে ট্রাফিক বক্সে দায়িত্বরত অফিসার বলেন, রাস্তা ফাঁকা হলেও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বলতে গেলে এই এলাকায় লকডাউন ভালোই পালিত হচ্ছে।  এবারের লকডাউনে মানুষের চলাচলও কম।

এদিকে, এবার লকডাউনে জনসাধারণের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা রেখেছে পুলিশ। জনসাধারণের চলাচল আরও সীমিত করতে মুভমেন্ট পাস চেক করা হচ্ছে। তবে ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল স্টাফ, কোভিড টিকা ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, ব্যাংকার, ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান, টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, জরুরি সেবায় জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী, অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা, শিল্প কারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, ডাকসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র দিয়ে চলাচল করতে পারছেন।