জাতীয়

লকডাউনে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম দিচ্ছে সরকার

করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও রাজধানীসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রয় করছে সরকার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশবাপী এসব খাদ্যপণ্যের ভ্রাম্যমান বিক্রয় অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত খামারি ও ভোক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।   মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত সারাদেশে ১৩৩ কোটি ২১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৬৫ টাকা মূল্যের মাছ, গরুর মাংস, দুধ, ডিম, মুরগি ও বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য ভ্রাম্যমান ব্যবস্থায় বিক্রয় হয়েছে। 

করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন কার্যক্রম নিয়মিত তদারকী করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।

চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ, সরবরাহ ও বিপণন সচল রাখার কাজে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা-খামারি ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব। 

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, “করোনার এই ভয়াবহ ক্রান্তিকালেও মন্ত্রণালয় এবং সারাদেশে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। একইসাথে এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন, পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনসহ প্রান্তিক খামারিরা ঝুঁকি নিয়েও এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন।

পাশাপাশি সারাদেশে গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা করোনা ঝুঁকির মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের এ সময়োপযোগী উদ্যোগ জনসম্মুখে তুলে ধরছেন। এতে একদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করতে পারছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি সংশ্লিষ্টরা এ কাজে আরো উৎসাহিত হবেন।”