জাতীয়

২০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে লকডাউন চলছে। এরই মধ্যে মানুষের জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে আজ থেকে (২৫ এপ্রিল) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খুলেছে।  গণপরিবন বন্ধে যাত্রীর চাপ থাকায় ২০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা (শনির আখড়া-গুলিস্তান) করে নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) শনির আখড়া ও রায়েরবাগ এবং যাত্রাবাড়ীতে এ চিত্র দেখা গেছে।

সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে গাড়ির চাপ লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অনেকে মোটারসাইকেলে, প্রাইভেটকার, পিকআপে করে দোকানপাটসহ কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

শনিরআখড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মো. বোরহান নামের এক ব্যক্তি বলেন, লকডাউনের মধ্যে দোকান খুলেছে। গতকাল গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছি। হাতিরপুল একটি দোকানে কাজ করি। এখান থেকে গুলিস্তান ২০ টাকা ভাড়া। যাত্রীর চাপ থাকায় ২০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

রায়েরবাগে কথা হয় থেকে দোকান কর্মচারী আতিয়ার রেহমানের সাথে। তিনি বলেন, দোকানে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হলাম। পুলিশের সামনে যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করছে।  রায়েরবাগ থেকে নিউ মার্কেট ২৫ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা করে নিচ্ছে।  দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে অথচ বাস চলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।  আর এ সুযোগে সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।

রায়েরবাগ স্ট্যান্ডে কথা হয় সিএনজিচালক মো. বারেক নামের এক সিএনজি চালকের সাথে। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে আজ প্রথম সিএনজি নিয়ে বের হলাম। রাস্তায় পুলিশ ধরলে ৬০০ টাকার মামলা দেয়। তাই যাত্রীদের কাজ থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছি।  আমাদের পরিবার আছে, বাড়তি টাকা না নিলে খাব কি?

শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় রিকশাচালকদের সঙ্গে প্যাসেঞ্জারদের দর কষাকষি করতে দেখা গেছে।  রিকশাচালকরা ২০ টাকার ভাড়া ৮০ টাকা, ৩০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা, ৪০ টাকার ভাড়া ১২০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত  দাবি করছেন।

যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল যাবেন মো. ফোরকান। তিনি বলেন, রিকশা ভাড়া ১২০ টাকা চাওয়া হয়েছে।  এখান থেকে মতিঝিল রিকশা ভাড়া ৫০ টাকা। সেই ভাড়া বেড়ে ১৮০ টাকা চাওয়া হলো।

ভাড়া বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে রিকশাচালক ফরহাদ বলেন, মামা, রাস্তায় প্রচণ্ড গরম।  গরমে ঠেলে রিকশা চালানো অনেক কষ্টের, সময়ও লাগে বেশি।

রায়েরবাগ চেকপোস্টে দায়িত্বরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ বলেন, পরিবহন সংকটের কারণে  বিভিন্ন পরিবহন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে এ অভিযোগ কেউ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।