জাতীয়

বাংলাদেশে অক্সিজেন সংকট নেই: স্বাস্থ‌্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে বর্তমানে অক্সিজেন সংকট নেই, দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ‌্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘কোভিড-১৯, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও জনসচেতনতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ‌্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে কোনো অক্সিজেন সংকট নেই। আমাদের দেশের অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা অন্য কোনো দেশের ওপর নির্ভর করে না। সারা বছর ভারত বা অন্য কোনো দেশ থেকে অক্সিজেন আমদানি করার প্রয়োজন পড়েনি। করোনার পিক অবস্থায় ভারত থেকে কিছু অক্সিজেন আমদানি করা হয়েছিল। এখন ভারতের কঠিন সময় যাচ্ছে। এই সংকটে ভারত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাছাড়া, লিকুইড অক্সিজেনের তুলনায় গ্যাস অক্সিজেনের উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা অনেক বেশি। এখন দিনে ২৫০ টন গ‌্যাস অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। লিকুইড অক্সিজেন ১৫০ থেকে ২০০ টন উৎপাদন হয়। দেশে বেসরকারি খাতেও ৪০-৫০ টন অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে সেগুলোও নেওয়া যাবে। দেশে বর্তমানে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ১০০ থেকে ১৫০ টন মাত্র। চাহিদা দ্বিগুণ হলেও এই মুহূর্তে অক্সিজেন সংকট হবে না। তবে, রোগীর সংখ্যা বহু গুণ বাড়লে তখন ভিন্ন চিত্র দেখা দিতে পারে। রোগী যাতে না বাড়ে, সেদিকে সবার মনোযোগী হতে হবে।’

তিনি জানান, ভারত সংকটকালে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে না পারলে বা বিলম্বে দিলে সরকার বসে থাকবে না। চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউন থাকায় সংক্রমণ এখন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে, লকডাউনের কারণে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের বা যারা কাজ করে চলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। এ কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে।’ 

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।