জাতীয়

ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করার নির্দেশনা দিয়ে ৫ মে মধ্যরাত থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত চলমান লকডাউন (বিধি-নিষেধ) বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

এতে আরও বলা হয়, ৫ মে পর থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। তবে দূর পাল্লার গণপরিবহন তথা আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এসময় আগের মতো ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলও বন্ধ থাকবে। ফলে ঈদের তিন দিনের ছুটিতে কেউ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। যে যেখানে আছে সেখানেই থাকতে হবে।

লকডাউন চলাকালে সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার। মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। মাস্ক পরাসহ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে দোকান পাট, মার্কেট শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। করোনা প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা মাইকিং প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

জনসমাবেশ হয় এমন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 

এর আগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধি-নিষেধ ঘোষণা করে সরকার। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য কঠিন লকডাউনে যায় সরকার। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আবারও লকডাউন বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান লকডাউন আরেক দফা বাড়িয়ে ৫ মে মধ্যরাত থেকে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়।