জাতীয়

‘ভাসানচরে জীবিকা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি জরুরি’

ভাসানচরের পরিবেশ ভালো, তবে জীবিকা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা জরুরি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের  প্রতিনিধি দল।

তারা জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করবে জাতিসংঘ।

বুধবার (২ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।  বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর প্রটেকশন গিলিয়ান ট্রিগস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর অপারেশনস রাউফ মাজুও ভাসানচরে অর্থায়ন ও জাতিসংঘের কার্যক্রম শুরু করাসহ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের নানা ইস্যু আলোচনা করেন।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুর্নবাসনে ভাসানচরে জাতিসংঘ যুক্ত হবে বলেও তারা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর প্রটেকশন গিলিয়ান ট্রিগস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর অপারেশনস রাউফ মাজুও বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সব জায়গা শরণার্থীদের পাশে থাকবে ইউএনএইচসিআর। অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো রোহিঙ্গাদের পাশে। করোনা থেকে রক্ষায় রোহিঙ্গাদের জন্য খুব ভালো কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার।’

রাউফ মাজুও বলেন বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা কক্সবাজারের চেয়ে ভালো। এখানে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

করোনার মধ্যেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায় জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল।