জাতীয়

৯ জুন থেকে চলবে আরও ১৯ ট্রেন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচল করছে। এবার রেলবহরে যোগ হচ্ছে আরও ৯টি আন্তঃনগর এবং ১০টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন। আগামী বুধবার (৯ জুন) থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে।

করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউনের কারণে দুই মাসের বেশি সময় এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ট্রেনেও আসনের সংখ‌্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে।

রোববার (৬ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

লকডাউনের কারণে গত ৫ এপ্রিল সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২৪ মে থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ২৪টি আন্তঃনগর ও ৯টি মইল ও লোকাল ট্রেন চলছে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইন ও অ্যাপে বিক্রি হচ্ছে। ৮ জুন থেকে অর্ধেক টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।

৯ জুন থেকে যেসব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে, সেগুলো হলো—ঢাকা-ময়মনসিংহ-তারাকান্দা রুটের 'অগ্নিবীনা এপপ্রেস', ঢাকা-সিলেটের 'জয়ন্তিকা/উপবন এপপ্রেস', চট্টগ্রাম-সিলেটের 'পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস', রাজশাহী-চিলাহাটির 'বরেন্দ্র এক্সপ্রেস', খুলনা-চিলাহাটির 'সীমান্ত এক্সপ্রেস', ঢাকা-কুড়িগ্রামের 'কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস', পঞ্চগড়-ঢাকার 'পঞ্চগড় এক্সপ্রেস' এবং পঞ্চগড়-রাজশাহীর 'বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস'।

যে ১০টি মেইল ও কমিউটার ট্রেনের চলাচল পুনরায় শুরু হবে, সেগুলো হলো—ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল, সুরমা মেইল, তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, বিরল কমিউটার, বগুড়া কমিউটার এবং কলেজ ট্রেন।

রেলের বহরে ১০২টি আন্তঃনগরসহ ৩৬২টি যাত্রীবাহী ট্রেন আছে। এর মধ্যে লকডাউনকালে দুই ধাপে ৫২টির চলাচল শুরু হচ্ছে।

রেলেওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলবে। সব যাত্রীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন চলাচল শুরু হবে।