জাতীয়

আবারও কাউন্টারে মিলছে ট্রেনের টিকিট

দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ দেশের সব স্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক আসনে ট্রেন চলাচল করছে। যার টিকিট একই সঙ্গে কাউন্টার ও অনলাইনে বিক্রয় করা হচ্ছে।

ট্রেনের মূল আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট মোবাইল অ্যাপস্ এবং ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয় করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে অবিক্রিত টিকিট একইসঙ্গে অনলাইন/কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। সে সঙ্গে ক্রয় করা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফেরত (রিফান্ড) দিতেও পারবেন।

এদিকে, রেলের বহরে ১০২টি আন্তঃনগরসহ ৩৬২টি যাত্রীবাহী ট্রেন রয়েছে। লকডাউনে দুই ধাপে এর মধ্যে ৫২টি চালু হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আগামীকাল বুধবার (৯ জুন) থেকে ৯টি আন্তঃনগর এবং ১০টি মেইল ও কমিউটারসহ ১৯টি ট্রেন চালু হবে। করোনা সংক্রমণ রোধের লকডাউনে দুই মাসেরও বেশি সময় এইসব ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ট্রেনেও আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে।

যার মধ্যে রয়েছে— আসনবিহীন টিকিট বিক্রয় করা হবে না। তাই অযথা কাউন্টারে ভিড় করা থেকে বিরত থাকুন। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেনে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরজা ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গত ২৩ মে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ২৪ মে থেকে সরকার কর্তৃক বিদ্যমান আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।