কড়াকড়ি নিরাপত্তায় হবে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত ফোর্স সদস্যরা ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক ও যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্র বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে মোট ১৯ দায়িত্ব পালন করবেন। পরিপত্রে সম্ভবত এরকমই আছে। পরিপত্রটি এখনও জারি করা হয়নি। বলা যায়, এ আসনের উপ-নির্বাচনে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি রাখা হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যা যা করার সবই করা হচ্ছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য। এদের মধ্যে পুলিশ আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কাছে অস্ত্র থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক ভোকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবেন। ভোটের দুদিন আগে থেকে পরের দিন পর্যন্ত মোট ৪দিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি, র্যাবের ১০টি ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে ১৯ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রাখার জন্য মোট ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। যেকোনো অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচার কাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করবেন দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ১৯ জুন থেকে ২২ জুন আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ১৯ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।