জাতীয়

ত্ব-হা ও অপর তিনজনকে জবানবন্দি শেষে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ

ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানসহ অপর তিনজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে নিজ নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাদেরকে নিজ জিম্মায় হস্তান্তরের এ নির্দেশ দেন মহানগর আমলি আদালত-৪ এর বিচারক কে এম হাফিজুর রহমান।

এ বিষয়ে রংপুর জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. সোলায়মান হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আবু ত্ব-হা আদনান ও তার দুই সঙ্গীর পরিবার থেকে করা জিডির প্রেক্ষিতে উদ্ধার করে আদালতে স্বপ্রোণোদিতভাবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক।

মহানগর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ রাইজিংবিডিকে জানান, আবু ত্ব- হা আদনানসহ তার সফরসঙ্গী আবু মুহিত আনছারী ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন কোতোয়ালি আমলি আদালত-৪ এর বিচারক কেএম হাফিজুর রহমান। বিজ্ঞ আদালত বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের তিনজনকে নিজ জিম্মায় হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এরপর তারা তাদের পরিবারের কাছে চলে যায়।

উল্লেখ্য, আবু ত্ব-হা নিখোঁজের ঘটনায় দুটি জিডি হয়েছিল। তার মা একটি জিডি করেন এবং তার সঙ্গে নিখোঁজ থাকা আমিরুদ্দিনের ভাই ফয়সাল আরেকটি জিডি করেন। 

আট দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ত্ব-হাকে তার প্রথম স্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন রংপু্র মহানগর পুলিশ। সেখান থেকে তাকে নিখোঁজ থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান আবু ত্ব-হা।

শুক্রবার বিকেলে এমন তথ্য গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা তার সঙ্গীরাও বিষয়টি স্বীকার করেন বলে জানান তিনি।

প্রাথমিক এই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের তিনজনকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি শেষে তাদেরকে নিজ জিম্মায় হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, রংপুরে ওয়াজ মাহফিল শেষে ঢাকার বাসায় ফেরার পথে আবু ত্ব-হাসহ চারজন নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ ছিল। আবু ত্ব-হার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, ঢাকার গাবতলী থেকে তারা নিখোঁজ হন। আবু ত্ব-হার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন আরও তিন জন। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।