জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১ উত্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (৩ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিলটি উত্থাপনের পর তা ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়েছে। আইনটি পাস হলে ১৯৭৬ সালের দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিন্যান্স রহিত হবে।
প্রস্তাবিত আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমান আইনে নেই।
বিলে বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, দৈব-দুর্বিপাকে কিংবা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বর্তমান সীমানার আলোকে নির্বাচন হবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, সংবিধানের ১১৯ (গ) অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সংসদে নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ নির্বাচন এলাকা সীমানা নির্ধারণ বিধান অধ্যাদেশ-১৯৭৬ জারি করা হয়। এরপর থেকেই এই অধ্যাদেশের বলে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস হয়ে আসছে। নতুন আইন হলে এর বিধানে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বর্তমান আইনে একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি, ক্ষমতা অর্পণ ও কমিশনকে সহায়তা প্রদান এবং কমিশন কর্তৃক বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে জাতীয় সংসদের একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণকাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা হবে।’