জাতীয়

বাজার ও ব্যাংকের কারণ দেখিয়ে রাস্তায় ভিড়

দেশে কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধের আজ সোমবার (৫ জুলাই) পঞ্চম দিন চলছে।  তবে দিন যতই বাড়ছে সড়কে বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা ও মানুষ।  নানা অজুহাতে মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। কঠোর লকডাউনের শুরুর দিকের তুলনায় এদিন ব্যক্তিগত গাড়ি রিকশা ও মানুষের সংখ্যা বেশি। অলিগলিতে দোকানপাটও খোলা দেখা গেছে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০ নম্বর, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, গাবতলি, কল্যাণপুরসহ আশেপাশের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে, চারদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার চালু হয়েছে ব্যাংক-বিমা ও শেয়াবাজার।  এ কারণে লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে।  সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও বেড়েছে। 

এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গাড়ি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও বেড়েছে। বিভিন্ন চেকপোস্টে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন তারা।

টেকনিক্যাল মোড় এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চেকপোস্ট পরিচালিত হচ্ছে। সেখানেও ব্যক্তিগত গাড়িরসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন যানের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।  দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা প্রতিটি গাড়ি চেক করছেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।

মিরপুর-১ নম্বর জনতা ব্যাংকের গ্রাহক মাইনুল ইসলাম জানান, চারদিন পর আজ ব্যাংক খুলেছে। তাই কিছু টাকা তুলতে এসেছি।  ব্যাংকিং আরও কিছু কাজ ছিলো তাই বাইরে বের হয়েছি। লকডাউনের শুরুতে আমি বা আমার পরিবারের কেউ বাইরে বের হয়নি।  আজ প্রয়োজন তাই ব্যাংকে এসেছি। 

মিরপুর-১ নম্বরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সার্জেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, গত করেকদিনের তুলনায় আজ রাস্তায় মানুষ বেশি বের হয়েছে।  যারা বের হয়েছেন কোন না কোন কাজেই বের হয়েছেন। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি কি কারণে বের হচ্ছেন লোকজন- তারা কেউ বলছেন বাজার করতে বের হয়েছি আবার কেউ কেউ বলছেন ব্যাংক বা অফিসের কাজে বের হয়েছি।  তাই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর যেতে দিচ্ছি। 

তিনি বলেন, আমরা সক্রিয় আছি।  কেউ বিনা কাজে বাইরে বের হলে তাকে জরিমানা করছি। অনেককে সচেতন করে বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। চেষ্টা করছি সবাই যেন লকডাউনে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকে।