জাতীয়

গার্মেন্টস ছুটির সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। এর মধ্যে ঈদ ঘনিয়ে আসায় তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ঈদে বাড়ি যাওয়া না যাওয়ার বিষয় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে নৌ, রেল এবং বাসের বিশেষ পরিবহনে শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যবস্থা করার জন্য গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিক পক্ষ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে বলে জানা গেছে।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য ছুটি পাবে, তবে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা ঈদ কোথায় উদযাপন করবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে সবপক্ষের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বসবে মন্ত্রণালয়। শ্রম ভবনে এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে। 

বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য শ্রমিক নেতা, খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনের নেতা ও শ্রম সংস্থার প্রতিনিধিদের চিঠি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। বৈঠকে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ, ছুটি এবং শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হবে।

তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ী নেতারা জানান, ঈদ মুসলমানদের আনন্দ ও আবেগের বিষয়। সারা বছর সবাই এই দিবসগুলো উদযাপনের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর থেকে তা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিপূর্বে রোজার ঈদেও শ্রমিদের কর্মস্থল এলাকায় ঈদের ছুটি কাটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় কোরবানির ঈদেও বাড়িতে যাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

কারখানা মালিকরা জানান, তাদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ছুটির বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই। সরকার ঘোষিত ছুটি এবং প্রাপ্য ছুটি শ্রমিকদের দিতে তারা প্রস্তুত। তবে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ‍উদ্যোগ নেবেন তারা।

কারখানা মালিকরা চাচ্ছেন, শ্রমিকদের জন্য বিশেষ যাতায়াতে রেল, নৌ ও স্থল পরিবহনের ব্যবস্থা করার জন্য। শ্রমিকরা যাতে গ্রামে গিয়ে আবার ছুটি শেষে ফিরতে পারে।

শ্রমিক নেতারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে চলাচলের পরিবেশ ভিন্ন। ঈদে বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের আবেগ রয়েছে। সবাই চায় আত্মীয়দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। কিন্তু পরিস্থিতি বিপরীত হওয়ায় তা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।