জাতীয়

জাতিসংঘে জলবায়ু-মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব পাস

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকারবিষয়ক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ‌্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো প্রস্তাবটি গ্রহণ করায় এক বিবৃতিতে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্তিত্বের হুমকিস্বরূপ এবং তা বিশ্বের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ায় আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদ্য সমাপ্ত ৪৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পাস হওয়া প্রস্তাবটি ছিল মানবাধিকারের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব বিষয়ে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কার্যত কোনো ভূমিকা না থাকলেও এই দেশগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে।’

বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে অভিযোজন, প্রশমন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং আর্থিক ও বিনিয়োগ সহায়তা বৃদ্ধিতে উন্নত দেশগুলোকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান প্রস্তাবটি মানবাধিকার পরিষদে উপস্থাপন করেন।

এই প্রস্তাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপ্রবণ দেশগুলোতে কার্যকর সহায়তা প্রদান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে ধারাবাহিকভাবে এ প্রস্তাব উত্থাপন করে আসছে। এ বছরের প্রস্তাবে রাশিয়া কতিপয় সংশোধনী আনার চেষ্টা করলে সেগুলোর প্রত্যেকটি ভোটে পরাজিত হয়। এবার রাশিয়া পুরো প্রস্তাবের বিরোধিতা না করায় এটি প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।