জাতীয়

সপ্তাহে কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে এখন টিকাকেই মুখ্য হাতিয়ার বানাতে চায় সরকার। আমাদের পর্যাপ্ত টিকা মজুদ আছে। এমনকি সাপ্লাই চেইনও ভালো আছে। আগস্ট থেকে প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তাহলে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষ পাবে।’

শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপান থেকে আসা ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাইকি ইতোসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তিনি করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব একটু আগেও বলছিলেন, আমরা ৭ আগস্ট থেকে গ্রাম পর্যায়েও টিকা দেওয়া শুরু করছি। প্রতি সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এত মানুষকে একসাথে টিকার আওতায় আনার নজির পৃথিবীতে কয়টি দেশে আছে, তা চিন্তা করার মতো একটি বিষয়।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের হাতে ১ কোটির ওপরে করোনার টিকা আছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও ২ কোটি টিকা আসবে। এভাবে চীন থেকে ৩ কোটি, রাশিয়া থেকে ৭ কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটিসহ আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি টিকা চলে আসবে। এর মাধ্যমে দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হবে সরকার।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানান, দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনায় ৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে মহাযজ্ঞ। এবার কেবল হাসপাতালে নয়, তৃণমূল পর্যায়েও দেওয়া হবে টিকা। পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ইউনিয়ন ও পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডেই থাকবে নির্ধারিত টিম।