জাতীয়

‘ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কমেছে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেছেন, ‘পুরো দেশে আধুনিক রাডার এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ব্যবস্থা আছে। উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সাম্প্রতিককালে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি কমেছে।’

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে এ কর্মশালার আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোহাম্মদ নাসিম বক্তৃতা করেন।

দুর্যোগ ব‌্যবস্থাপনা সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) যাত্রা শুরু করেছিলেন, যারা আগাম সতর্ক সংকেত প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জান-মাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের ৫০ শতাংশই নারী।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রাণনির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে সিপিপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’