পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল গণতন্ত্রের দেশগুলোকে ডাকা হয়েছে। তাই, এ সম্মেলনে বাংলাদেশের নাম নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায়, সে সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো, অনেকগুলো লোককে ভোট দিতে দিলো না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো। আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব দেশ গণতন্ত্রের দিক থেকে দুর্বল, হয়তো তাদের ডাক দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা দুই পর্বে সম্মেলন করবে বলেছে। প্রথমে কয়েকটি দেশকে ডাকা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক দিক থেকে খুবই দুর্বল। আমাদের বাদ দিয়েছে, সেটা আমি বলি না। হয়তো পরে তারা আমাদের বলবে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এটা তাদের দায়-দায়িত্ব। অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে আমন্ত্রণ পেয়েছে ১১০টি দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপ আমন্ত্রণ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চু্য়ালি এ সম্মেলন হওয়ার কথা আছে।