জাতীয়

বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে: হারুন

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেছেন, আমাদের ভবিষ্যতে কী হবে আমি বলতে পারবো না। সত্যিকার অর্থে আজকে জাতি একটা গভীর সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। অবশ্যই রাজনীতি চর্চায় আমাদের ফিরে আসতে হবে। বিরোধী দলকে আজকে রাজনৈতিক কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। 

হারুন বলেন, উচ্চ শিক্ষাঙ্গন থেকে ডাক্তার হয়, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হচ্ছে কিন্তু রাজনীতিক তৈরি হচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনীতি নেই, রাজনীতির চর্চা নেই।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান জাতীয় সংসদ, আমরা এখানে সরকারি দল, বিরোধী দল একাকার হয়ে গেছি। আমাদের পাশে বিরোধীদলের সদস্যরা রয়েছেন। উনারাই বলছেন, আমরা কাগজে-কলমে বিরোধী দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে যেখানে লাঙ্গল ছিল সেখানে নৌকা নেই। যেখানে নৌকা ছিল সেখানে লাঙ্গল নেই। তাদের দায়বদ্ধতা আছে। সত্যিকার অর্থে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই সংসদ সেটি ঘটাতে পারছে না।

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একাধিকবার সংসদ নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি, আজকে ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক যে অবস্থা ওনাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায়? আপনি তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগটি দিন। এতে আপনি সম্মানিত হবেন। দেশের মানুষ আপনাকে অবশ্যই সম্মান করবে। তাঁর (খালেদা জিয়া) যে বয়স, তার যে অবস্থা এই অবস্থায় তাকে এটা বিবেচনা করা উচিত।

হারুনুর রশীদ বলেন, যারা সামনের দিনে দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই মানুষগুলো আমরা তৈরি করতে পারছি না। যোগ্য মানুষ তৈরির জন্য প্রয়োজন অনুভব করছি না। প্রয়োজন যুগোপযোগী জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের শিক্ষা পরিকল্পনা মোটেও যুগোপযোগী নয়। কোনো প্রচেষ্টা বা উদ্যোগ আমরা দেখছি না। একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ, কার্যকর পদক্ষেপ যদি আমরা নিতে না পারি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা নিদারুণভাবে বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়বো।তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রশাসনিক সর্বস্তরে মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়। আশঙ্কাজনকভাবে দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তার। শিক্ষা ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিভিন্ন নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস। এমসিকিউ পদ্ধতির মাধ্যমে জ্ঞানশূন্য প্রজন্মের বিস্তৃতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে দেউলিয়া থেকে আরও দেউলিয়ার দিকে আমরা নিয়ে যাচ্ছি। জাতি হিসেবে আমরা সব দিক থেকেই যেন একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই কথাগুলো বললে, আমাদের সরকার দলীয় সদস্যরা অনেকে কষ্ট পাবেন। সত্য সত্যিকার অর্থেই বড়ই কঠিন।