জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘সরকারের আন্তরিকতা ও দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে জনগণ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারছে।’
সোমবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনকে (বিআরটিসি) বিনামূল্যে গাড়ি সরবরাহের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের নাগরিকরা যেন নিরাপদে বসবাস ও চলাচল করতে পারে, সেজন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নাগরিকদের চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষণ চলছে। ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে গাড়িচালকদের আরও সুপ্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। গাড়িচালকরা যাতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্য মহাসড়কগুলোর পাশে পর্যাপ্ত বিশ্রাম কক্ষ তৈরি করতে হবে। গাড়ি চালনায় তাদের পূর্ণ সক্ষমতা আছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পক্ষে পরিবহন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান এবং বিআরটিসির পক্ষে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসির কাছে ২৯টি গাড়ি হস্তান্তর করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন যানবাহনের চাবিগুলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। বিআরটিসির ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে গাড়িগুলো সরবরাহ করা হয়।