জাতীয়

বাণিজ্য মেলায় আসা-যাওয়ার সহজ পথ

পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এটিই মেলার স্থায়ী ঠিকানা। প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরে মেলা হওয়ার কারণে অনেক দর্শনার্থীরা সহজে মেলায় আসা-যাওয়ার উপায় খুঁজে না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানা গেছে। তবে রাজধানী থেকে বেশ কয়েকটি উপায়ে মেলায় সহজে আসা-যাওয়া করা যায়। এতে ভোগান্তি লাগব হবে দর্শনার্থীদের। 

মেলায় বেশ কিছু দর্শনার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানায়, আগে থেকে না জানার কারণে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছতে সময় ও ভাড়া বেশি লাগছে। আগে থেকে সঠিক পথ জানা থাকলে ভোগান্তিও কম হবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস সার্ভিস দর্শনার্থীদের খুবই সহায়ক হচ্ছে। তবে এই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত বলে জানায় দর্শনার্থীরা।

রাজধানীর স্বামীবাগ থেকে কয়েকজন বন্ধু মিলে বাণিজ্য মেলায় এসেছেন রনি সাহা। বলেন, আমরা কয়েকজন বন্ধু কুড়িল বিশ্বরোড প্রগতি সরণি হয়ে বিআরটিসি বাসে পূর্বাঞ্চল মেলা প্রাঙ্গণে এসেছি। তাতে অনেক সময় লেগেছে। তাছাড়া ব্যয়ও বেশি হয়েছে। তিনশ ফিট রাস্তায় ধুলাবালিসহ নানা ভোগান্তি তো আছেই। অথচ গাউছিয়া দিয়ে যদি আমরা মেলায় আসতাম তাহলে এত সময়-অর্থ ব্যয়সহ ভোগান্তিও কম হতো।

খিলগাঁওয়ের মানিকদিয়া থেকে মেলায় এসেছে জব্বার মোল্লা। তিনি বলেন, আমি কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে মেলায় এসেছি। অথচ ইছাপুরা দিয়ে আসলে আমার জন্য সহজ হতো। এটা আমার জানা ছিল না। তবে যাবার সময় রূপগঞ্জ হয়ে ইছাপূরা দিয়ে যাবো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানী থেকে বাণিজ্য মেলায় ৩ দিক দিয়ে যাওয়া যায়। এর মধ্যে যেসব রুট বা এলাকা দিয়ে দর্শনার্থীরা মেলায় যেতে সুবিধা হয় সেটিই তারা ব্যবহার করতে পারেন। তবে মেলায় যেতে সব সড়কেই ধুলাবালি রয়েছে। সেদিকে বিবেচনা করে মাস্ক পরিধান করে মেলায় যাওয়া ভালো।

যেসব রুট দিয়ে মেলা যাওয়া যায় সেগুলো হলো

গুলিস্তান থেকে গাউছিয়া হয়ে বাণিজ্য মেলায়: মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে গুলিস্তান থেকে গাউছিয়া মার্কেট পর্যন্ত গ্লোরি, আসিয়ান পরিবহনের বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বাস সার্ভিসও রয়েছে। এসব বাসে গাউছিয়া নেমে বিআরটিসি বাসে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যাওয়া যায়। এরপর হেঁটে বাণিজ্য মেলায় আসা-যাওয়া করা যায় সহজেই। এই পথে যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, সায়দাবাদ, মুগদা, কমলাপুর, পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার, সূত্রাপুর, শ্যামপুর, সদরঘাটের আশপাশের এলাকার দর্শনার্থীরা সহজে মেলায় আসা-যাওয়া করতে পারে।

গুলিস্তান থেকে রূপগঞ্জ হয়ে বাণিজ্য মেলা: মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে গুলিস্তান থেকে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত বাস সার্ভিস রয়েছে। এরপর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রূপগঞ্জ হয়ে সিএনজি চালিত বাহনে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত আসা-যাওয়া যায়। এই পথেও ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, সায়দাবাদ, মুগদা, কমলাপুর, পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার, সূত্রাপুর, শ্যামপুর, সদরঘাট ও  এর আশপাশের এলাকার দর্শনার্থীরা সহজে মেলায় আসা-যাওয়া করতে পারে। তাছাড়া যেসব দর্শনার্থী এসব এলাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতে চায় তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ পথ এটি। এই রুটে রূপগঞ্জ থানা এলাকা পর্যন্ত ধুলাবালি একেবারেই নেই বললেই চলে।  

গুলিস্তান থেকে কুড়িল হয়ে বাণিজ্য মেলা: সদরঘাট, গুলিস্তান থেকে আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, গাজীপুর পর্যন্ত সেসব বাস সার্ভিস রয়েছে সেগুলো দিয়ে কুড়িল বিশ্বরোড প্রগতি সরণি নেমে বিআরটিসি বাস সার্ভিসে সহজেই আসা-যাওয়া করা যায়। তবে এ পথে ধুলাবালি বেশ। রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, বাড্ডা রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, উত্তরা এলাকায় বসবাসকারী দর্শনার্থীরা সহজেই এই পথে মেলায় যেতে পারে।