জাতীয়

ঈদযাত্রা: ট্রেনে ভিড়, মানা হচ্ছে না নির্দেশনা

রাজধানীতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে অধিকসংখ‌্যক যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রচুর যাত্রী দাঁড়িয়ে রওয়ানা হয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। যাত্রীরা বলছেন, এবার কোনো স্ট্যান্ডিং টিকিট দেবে না বলার পরও মানা হচ্ছে না নির্দেশনা।

আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

রোববার (১ মে) সকাল থেকেই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৬টায় ছাড়ার কথা ছিল। ছেড়ে গেছে সোয়া ৭টায়। নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়ার সময় ৬টা ৪০ মিনিটে। ছেড়েছে সাড়ে ৭টার পর।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, প্রতিবারের তুলনায় এবার শিডিউল বিপর্যয় অনেক কম। ভ্যাপসা গরম, ভিড়সহ নানাবিধ ভোগান্তির পরও ট্রেনে উঠতে পেরেছেন, ট্রেন ছাড়ছে, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দে সব কষ্ট ভুলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ১৪টি ট্রেনেই ছিল উপচেপড়া ভিড়।  কমলাপুরে থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ছাড়ছে। উপরন্তু অনেক মানুষ দাঁড়িয়েও যাচ্ছে গন্তব্যে। ভিড় ঠেলে নিজেদের নির্দিষ্ট বগিতে উঠতে পারলেও নিজ আসন পর্যন্ত যাওয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, সিলেট, চট্টগ্রামগামী সব ট্রেনেই একই চিত্র দেখা গেছে। ট্রেনের জানালা দিয়েও অনেককে উঠতে দেখা গেছে।

দাঁড়ানো যাত্রীদের ঠাসাঠাসির কারণে টিকিট থাকার পরও অনেকেই যেতে পারেননি নিজ আসন পর্যন্ত। পরিবার, শিশু, নারী ও বয়স্কদের নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন অনেকে।

সিলেটগামী অরুনিমা নামের একজন যাত্রী বলেন, কত কষ্ট করে টিকিট পেলাম। এখন দেখি ঘাড়ের ওপরেও মানুষ। এভাবে ৬/৭ ঘণ্টা কী করে যাব? এসব দেখারও কেউ নেই।

আরও পড়ুন: সৌদি আরবে ঈদ সোমবার

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু এক লেন হওয়ায় সেখানে অপেক্ষা করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে দিতে প্রতিটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছু সময় বেশি ট্রেন থামানো হচ্ছে। ফলে কিছুটা সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। আমরা চেষ্টা করেছি দ্রুত ঢাকা থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে দিতে।’

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টসসহ সব অফিস ছুটি, একদিন পরই ঈদ, তাই ট্রেনের ওপর চাপ বেড়েছে।