জাতীয়

ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা: তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর কৃষ্ণসাগরের তীরে অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলার ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার (২০ মে) বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।

অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে প্রকাশ করতে হবে। রকেট হামলায় নিহত মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের পরিবারকে অতি দ্রুত উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নিহত হাদিসুর রহমানের পরিবারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং জাহাজে কর্মরত সকল নাবিককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেখানে অ্যাসোসিয়েশনের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও আমরা এখনও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিহত হাদিসুর রহমানের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে গত ১৫ মার্চ বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আমীর মো. আবু সুফিয়ান ১ সপ্তাহের মধ্যে হাদিসুর রহমানের পরিবারকে বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বললেও তা দেওয়া হয়নি।’

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী জানিয়েছেন, আইটিএফ এবং বাংলাদেশি মেরিনদের পক্ষ থেকে হাদিসুরের পরিবারকে ১০ লাখ ১৯ হাজার ১৭৭ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। 

আজ বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ) কার্যালয়ে হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্সের হাতে অনুদানের টাকা দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ২ মার্চ বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলায় নিহত হন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। এরপরই অলিভিয়া বন্দরের আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের সহায়তায় ৩ মার্চ জাহাজে থাকা ২৮ নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারকে উদ্ধার করে ইউক্রেনের বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ জন নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।