জাতীয়

নামজারি আবেদনে থাকছে না বাড়তি ঝামেলা

খুব শিগগির ই-নামজারির জন্য আধুনিক ফরম চালু করা হবে। এই ফরম চালু হলে আবেদন করার সময় ত্রুটি আছে কিনা, তা বোঝা যাবে। এ ছাড়া কল সেন্টারের মাধ্যমেও নামজারির আবেদন জমা দেওয়া যাবে। জমির যে সব ডকুমেন্ট সরকারের কাছে রক্ষিত আছে, তার কপি আর নাগরিককে নামজারি আবেদনের সময় জমা দিতে হবে না। ফলে নামজারি আবেদনে থাকছে না বাড়তি দলিল জমা দেওয়ার ঝামেলা।

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিবন্ধন দলিলমূলেও নামজারি করা হবে। এতে জমি হস্তান্তরে নতুন করে নামজারির প্রয়োজন হবে না। এসব উদ্যোগ পুরোদমে কার্যকর হলে জমির মালিকানা হস্তান্তরের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।

ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ফরম চালুর কার্যক্রম দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী মাসেই নতুন ফরম চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬৫ লাখ নামজারি আবেদনের মধ্যে ৫৭ লাখ আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে।

রোববার (২২ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন উদ্যোগ দ্রুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মধ্যে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, খতিয়ান/পর্চা, জরিপ এবং জমির ম্যাপ সম্পর্কিত কাজ করে ভূমি মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে, ভূমি নিবন্ধন সম্পর্কিত কাজ করে আইন মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নামজারি এবং খতিয়ানের ডাটাবেজ আইন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আইন ও বিধি-বিধান:

ভূমি সংস্কার আইন, ভূমি উন্নয়ন কর আইন এবং হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পেয়েছে বলেও জানায় ভূমি মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন এবং ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকারসহ বেশকিছু প্রয়োজনীয় আইন শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

ভূমি রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের উদ্দেশ্য সকল অভ্যন্তরীণ মামলা (মিস কেস, রিভিউ ও রেন্ট সার্টিফিকেট) একই প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা, অনলাইনে মামলার অবস্থা মনিটরিং সুপারভাইজ করা, দেওয়ানি মামলা ব্যবস্থাপনা ও একটি পরিপূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি ইত্যাদি।

এ ছাড়া, ভূমিসেবা কিয়স্ক (Kiosk) বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন স্টেশন, বিপণিবিতান, উপজেলা অফিস কমপ্লেক্স ইত্যাদি জায়গায় স্থাপন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগরিক প্রয়োজনীয় ফি এর বিনিময়ে জমির খতিয়ান, জমির ম্যাপ প্রিন্ট করতে পারবেন। দিতে পারবেন ভূমি উন্নয়ন কর। এ ছাড়া জানা যাবে নামজারি আবেদনের আপডেট।

প্রসঙ্গত, ‘ভূমি অফিসে না এসে ভূমি সেবা গ্রহণ করুন’ প্রতিপাদ্যে গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার ভূমি সেবা সপ্তাহ ২০২২-এর উদ্বোধনী হয়। অনুষ্ঠানে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত (রেকর্ডেড) শুভেচ্ছা বার্তা প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। 

রোববার বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনাররা স্থানীয় গণমাধ্যমের সাথে ভূমি সেবা বিষয়ক মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরবেন। সারা দেশের ভূমি অফিসগুলো সেবা দেওয়ার জন্য সেবা ক্যাম্প স্থাপন করেছে।