জাতীয়

বন্ধন এক্সপ্রেস: কলকাতা থেকে এলেন ১৯, গেলেন ৪৫ যাত্রী

দুই বছরের বেশি সময় করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকার পর খুলনা-কলকাতা রুটে শুরু হয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এরই অংশ হিসেবে রোববার (২৯ মে) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে খুলনা স্টেশনে এসে পৌঁছায় ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। পরে সেটি দুপুর দেড়টার দিকে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে আবারো ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।  

খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ভারত থেকে আসা ১৯ যাত্রীকে খুলনা স্টেশনে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে।’ ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট পর গন্তব্যে এসে পৌঁছায় বলেও জানান তিনি।

এর আগে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ২৬ মাস বন্ধ থাকার পর ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি রোববার সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে ভারতে কাচপুর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে ট্রেনটি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারনে গত ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃদেশী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় দেশের ভেতরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগে, ২০১৭ সালে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়।

 খুলনা থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার দুই দিন এই ট্রেন ছেড়ে যাবে ভারতের উদ্দেশ্যে। ভারত থেকে ট্রেনটি একই দিন বাংলাদেশে আসবে।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের বন্ধন এক্সপ্রেস নামের আন্তর্জাতিক ট্রেনটি চলাচল শুরু হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে কেবিনে সিট ভাড়া ২ হাজার ৫৫ টাকা এবং এসি চেয়ার কোচ ভাড়া ১ হাজার ৩৫ টাকা। বেনাপোল স্থলবন্দরে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর যাত্রীরা সরাসরি খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন। 

বেনাপোল স্টেশন ম্যানেজার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ভারত থেকে ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশনে আসলে আগত যাত্রীদের আমরা ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক রাজশাহী জোনের সুজিত কুমার বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।’ 

প্রসঙ্গত, এ ট্রেনটির ৪৫৬ আসনের মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির আসন রয়েছে। কলকাতা-খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার। বন্ধন এক্সপ্রেস প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছাবে। পরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পৌঁছাবে ১২টা ৩০ মিনিটে। খুলনা থেকে আবার যাত্রী নিয়ে দুপুর দেড় টায় রওনা দিয়ে বেনাপোল পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে। পরে বেনাপোলে রেলওয়ে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে রওনা দিয়ে কলকাতা পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে।