জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন’

অর্থনীতিবিদ ড. এম খলিকুজ্জামান বলেছেন, সাহিত্যিকরা পদ্মা নিয়ে অনেক লিখেছেন। তারা কবিসত্তা দিয়ে পদ্মাকে দেখেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি তার রাজনৈতিক সত্তা দিয়ে সেটাকে বিবেচনা করেছেন এবং এই সেতু নির্মাণ করে তার যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন।

তাতে দেশের অর্থনীতি এবং দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করার এবং ভবিষ্যতে আমাদের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং সামাজিক অগ্রগতি হচ্ছে সেটা আরও সুসংহত সুদৃঢ় এবং ত্বরান্বিত হবে। তার প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শী তার জন্যই হবে।

শনিবার (১৮ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ: বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশ তথা উন্নয়নশীল দেশসমূহের এক যুগান্তকারী বিজয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

ড. এম খলিকুজ্জামান বলেন, সারাদেশে যে যোগাযোগ বিস্তৃত হলো সেটা আমরা জানি। অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে অনেক শিল্প সৃষ্টি হবে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। মংলা বন্দর, বেনাপোল বন্দর রয়েছে সেটি আগের তুলনায় বেশি ব্যবহার হবে। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে। আমাদের সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা হয়েছে এটা আমাদের মর্যাদার বিষয়।

‘২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন আমাদের মাথাপিছু  আয় ছিল মাত্র ১০-১১ শ’ মার্কিন ডলার। এখন সেটা ২৮ শ’ মার্কিন ডলার। আরও অনেক বেড়েছে। সুতরাং এই যে মর্যাদা আমাদের সবার। এজন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। কারণ তার নেতৃত্ব না থাকলে এবং তিনি যদি সেভাবে নিজেরা করার জন্য এই ঘোষণা না দিতেন তাহলে আমাদের পদ্মা সেতু হতো না।’

বর্তমানে মাওয়া ঘাটে পরিবহনের ব্যয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে পদ্মা সেতুতে ট্রাকের জন্য ২৮ শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাক ড্রাইভারের সাথে কথা বলে দেখেছি, আগে ১ হাজার ৮০০ টাকা তাদেরকে দিতে হতো। ট্রাককে ফেরিতে তুলতে ২০০ টাকা দিতে হতো। দুই-তিন দিন আটকা যদি পড়ে যায় তখন ট্রাকে যে দুই জন থাকেন তাদের খাবার খরচ ২ হাজার বা তার বেশিও হতে পারে।‌ সব মিলিয়ে তাদের হিসাব মতে থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হতো। ২০০০ টাকায় পাড় হওয়া খুবই কঠিন। হয়তো কখনো কখনো হতো। বলছে তারা খুশি যে খুব দ্রুত চলে যেতে পারবে। চার-পাঁচ দিন সময় নষ্ট হতো এখন এই চার পাঁচ দিনে ২-৩টি ট্রিপ দিতে পারবে। সেজন্যই এখন তারা খুশি।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল আলম, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, পানি সম্পদ ও জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত প্রমুখ।